নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষসন্ত্রাসী মো. দিদারুল আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার দিদারুল চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য বলে জানা গেছে।
শনিবার ১ মার্চ) বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
সূত্র জানায়, দিদারের ছোট বোনের স্বামী, চট্টগ্রামের আরেক গডফাদার আ জ ম নাছির উদ্দীন এর ক্যাডার পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় দিদার নাছিরবাদ শিল্পাঞ্চলে জমিদখল, চাঁদাবাজি, খুনসহ এমন কোনও অপরাধ নেই সে করেনি।
এছাড়া দিদারের মেজো ভাই এএসপি সাইফুল ইসলাম চট্টগ্রামে পোস্টিং থাকার কারণে দিদার নাছিরাবাদ শিল্পাঞ্চলসহ চট্টগ্রাম শহরসহ আশপাশের উপজেলায় বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। দিদারের আরেক সহযোগী চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সন্ত্রাসী মহিউদ্দিন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় বহদ্দারহাট, মুরাদপুর ছাত্র জনতার উপর গুলিবর্ষণেরও অভিযোগ রয়েছে দিদারের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে শেরশাহ যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান বাদল হত্যাকান্ডসহ নাসিরাবাদে পতিত সরকারের আমলে একাধিক হত্যাকান্ডে দিদার ও মহিউদ্দিন জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরীর শেরশাহ, পলিটেকনিক, বায়েজিদ, টেক্সটাইল, আরেফিন নগর, আমিন জুট মিল এলাকায় মূর্তিমান আতঙ্ক কথিত যুবলীগ নেতা দিদারুল আলম ও একেএম মহিউদ্দিন। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে তাদের দু'জনকে 'মানিক জোড়' বলে থাকে সাধারণ মানুষ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর বাসা থেকে মেজবান শেষে বাসায় ফেরার পথে শেরশাহ বাজার সংলগ্ন ফরিদ কমিশনারের বাড়ির পেছনে ছুরিকাঘাতে খুন হন হকার্স লীগ নেতা রিপন্ পরদিন ১ জানুয়ারি নিহত রিপনের ভাই মো. আজাদ বাদী হয়ে দিদারুল আলমকে প্রধান, মহিউদ্দিনসহ ২৮ জনের নামে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হত্যা মামলা করেন।
এসসি/বিআর